উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা তিন ম্যাচেই জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে তারা ১-০ গোলে হারায় ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসকে। রিয়ালের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন জুড বেলিংহাম। এ নিয়ে লিগ পর্বে প্রথম তিন ম্যাচেই জিতল রিয়াল। অপর ম্যাচে তৃতীয় জয় পেয়েছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখও। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় জার্মান চ্যাম্পিয়নরা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল ক্লাব ব্রুগাকে।
হারলেও রিয়ালের বিপক্ষে ভালো লড়াই করেছে জুভেন্টাস। খেলার প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে অন্তত তিনবার রিয়াল রক্ষণকে পরীক্ষায় ফেলেছে তারা। সপ্তম মিনিটে কালুলুর বাড়ানো বল আটকান রাউল অ্যাসেনসিও, দশম মিনিটে ওয়েস্টন ম্যাকিকির নিচু শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। এ ছাড়া ১৪ মিনিটে ফেদেরিকো গাত্তির শট প্রতিহত করেন গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। বিরতির আগে রিয়ালের বড় সুযোগ আসে ৪০ মিনিটে। তখন কিলিয়ান এমবাপ্পের কোনাকুনি শট ফিরিয়ে দেন জুভেন্টাস গোলকিপার মিকেল গ্রেগরি। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে অবশ্য বেলিংহামের বেলায় বাধা হতে পারেননি তিনি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র কয়েকজনকে কাটিয়ে শট নিলেও বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। কাছেই ছিলেন বেলিংহাম, সহজেই জালে জড়ান ২২ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার। ২০২৫-২৬ মৌসুমে এটি তার প্রথম গোল। জুলাইয়ে কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর থেকে দীর্ঘ সময় পুনর্বাসনে ছিলেন বেলিংহাম। মাঠে ফিরলেও তাকে পুরো ম্যাচ আগে খেলানো হয়নি। অক্টোবরের ফিফা উইন্ডোতে ইংল্যান্ড কোচ টমাস টুখেল তো তাকে দলেই রাখেননি। সেই বেলিংহাম পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন, গোলও করেছেন। মার্শেইয়ের বিপক্ষে ২-১ আর আলমাতির বিপক্ষে ৫-০ গোলের রিয়ালের তৃতীয় জয়টি এসেছে বেলিংহামের ওই একমাত্র গোলেই। বিপরীতে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে জয়হীনই থাকল জুভেন্টাস। ইতালিয়ান ক্লাবটি আগের দুই ম্যাচে ডর্টমুন্ডের সঙ্গে ৪-৪ আর ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ২-২ ড্র করেছিল। ৩৬ দলের পয়েন্ট তালিকায় জুভেন্টাস এখন ২ পয়েন্ট নিয়ে ২৫ নম্বরে। আর তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ পাঁচে। সমান পয়েন্টের পরও গোল ব্যবধানে থাকায় রিয়ালের সামনে আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, বায়ার্ন ও পিএসজি। এর মধ্যে বায়ার্ন ক্লাব ব্রুগাকে হারিয়েছে ৪-০ গোলে। জার্মান দলটির হয়ে গোল করেছেন লেনার্ট কার্ল, হ্যারি কেইন, লুইস দিয়াজ ও নিকোলাস জ্যাকসন।