১৮ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৪ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল পাকিস্তান। গতকাল চতুর্থ দিনে সকালের সেশনে ৪৪ রানে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট শান মাসুদের দল। এতে জয়ের জন্য মাত্র ৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে পাকিস্তানে তাদের সর্বশেষ জয়টি ছিল ২০০৭ সালে। এবার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১-এ ড্র করল দুই দল। তাদের সামনে এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২৮ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
রাওয়ালপিন্ডিতে তৃতীয় দিনে ৩৫ ওভার ব্যাট করেছে পাকিস্তান। বাবর আজম ৪৯ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৬ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেন। গতকাল সকালের সেশনে মাত্র ১৪.৩ ওভার টিকেছে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। চতুর্থ দিনের প্রথম ওভারে বাবর ফিফটি তুলে নেওয়া পর সেই ওভারেই স্পিনার সাইমন হারমারের শিকার হন। ৫০ রানে আউট হন বাবর। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। বাবর আউট হওয়ার ৩ ওভার পর হারমারের শিকার হন ১৮ রান করা রিজওয়ান। নবম উইকেটে সালমান আগা ও সাজিদ খানের ৩৪ বলে ২৪ রানের জুটিতে কিছুটা এগিয়েছে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। ২৮ রান করেন সালমান, ১৩ রান করেন সাজিদ। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানে ৬ উইকেট নেন হারমার। টেস্টে প্রথমবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পথে দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০০ উইকেটও নেন এই অফ স্পিনার। পাকিস্তানের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নেওয়া প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজ ম্যাচ-সেরা। অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৪ রান তুলে ফেলেন প্রোটিয়াদের দুই ওপেনার এইডেন মার্করাম ও রায়ান রিকেলটন। ৪২ রান করা প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম নোমান আলীর বলে আউট হওয়ার তিন বল পর ট্রিস্টান স্টাবসও ফেরেন। এই ওভারে (১২তম ওভার) ২টি উইকেট নেওয়াই দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের বোলারদের সান্ত¡নাসূচক সাফল্য। ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার রিকেলটন।