নোয়াখালী: ভারি বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের অন্তত ১২টি জেলা। এমন পরিস্থিতিতে, নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রেগুলেটর পানির চাপে সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় ভেঙে যায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুছাপুর, চরহাজারী, চরপার্বতীতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
রেগুলেটরটি ভেঙে যাওয়ায় ভাটার সময় পুরো গতিতে পানি সরাসরি সাগরে নেমে যাবে। জোয়ারের সময় পানি ঢুকবে। জোয়ারের ফলে ছোট ফেনী নদীর তীরবর্তী এলাকার মুছাপুর, চরহাজারী, চরপার্বতী ও সোনাগাজীর নিচু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে যাবে। ছোট ফেনী নদীর দু’পাশে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। মুছাপুর ছোট ধলী ব্রিজ এলাকাসহ যেসব এলাকায় বিপুল পরিমাণ বালু উত্তোলন করা হয়েছে। সেসব এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে।
তথ্য মতে, ভারতের উজানের ফলে ফেনী মুহুরী নদীর পানি ও টানা বৃষ্টিপাতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর স্লুইস গেটের রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে পানি বঙ্গোপসাগরে চলে যায়।আজ সোমবার সকালে পানির তীব্র চাপে এ রেগুলেটরটি ভেঙে যায়। এরপর ব্রিজটি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা ছড়িয়ে পড়ে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসাইন পাটওয়ারী গণমাধ্যমকে জানান, রেগুলেটর এলাকায় আমি অবস্থান করছি। আজকে সকাল সাড়ে ৯টায় মুছাপুর রেগুলেটরটি পানিতে তলিয়ে যায়। জোয়ার আসলে ক্লোজারের দু’পাশ ভেঙে যাবে। ইতিমধ্যে ভাঙা শুরু হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুবিধার্থে রেগুলেটর সংলগ্ন এলাকায় ভিড় না করার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ করছি। ইতিমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন মুছাপুর, চরহাজারী, চরপার্বতীতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে, বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :