শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৪:৩৫ এএম

খানজাহান আলীর মাজারে তিন দিনব্যাপী মেলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৪:৩৫ এএম

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী হযরত খানজাহান আলী (রহ.)-এর মাজারে তিন দিনব্যাপী দরগার মেলা শুরু হয়েছে। সাড়ে পাঁচশ বছর ধরে চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শুরু হয় মেলা চলবে শনিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত।

মেলা উপলক্ষে আজ সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজারো নারী পুরুষ মাজারে জড়ো হতে দেখা গেছে। এসব ভক্তরা তিনদিন অবস্থান করবেন মাজারে। নিজের মনোবাসনা পূরণের আশায় স্রষ্টার আরাধনায় মগ্ন থাকবেন। এ তিনদিন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে লালন, মুর্শিদী ও ভাটিয়ালী গান পরিবেশন করবেন ভক্তরা। রাতভর লোকে লোকারন্য থাকবে মাজার প্রাঙ্গণ। আগত ভক্তদের বিশ্বাস এখানে এসে দোয়া করলে যে কোনো সমস্যার সমাধান মেলে।

মেলায় আসা খুলনার সান্তা ইসলাম বলেন, খানজাহানের মেলা উপলক্ষে আমরা আমাদের মান্নত পালন করতে এসেছি। পরিবারের সকলকে নিয়ে এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। তিনদিন আমরা এখানে থাকব। 

খুলনার ডুমুরিয়া থেকে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, ঐতিহ্যবাহী খান জাহানের মেলা দেখার জন্য প্রতিবছর আমি এ মেলাতে আসি। দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের কাছে এ মেলা খুবই জনপ্রিয়। গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য মেলাটি হয়নি। তাই এবছর মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় বেশ ভালো লাগছে।

মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলেন, প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এ মেলা বসে। সাড়ে ৫শ’ বছর ধরে এখানে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মেলা খানজাহানের মৃত্যু বা জন্ম দিনে হয় না। এখানে চৈত্র মাসের পূর্নিমা তিথিতে ভক্তরা এসে জড় হতো। যেটা পরবর্তীতে মেলায় রূপ নিয়েছে। খানজাহানের হাজার হাজার ভক্ত তাদের নানা মনোবাসনা নিয়ে হাজির হন। তারা বিশ্বাস করেন খানজাহান এখানে কাউকে খালি হাতে ফিরান না। তাদের সব আশা পূরণ করেন খানজাহান। তাই সব সব ধর্মের মানুষ এই সময়ে হযরত খানজাহানের মাজারে মিলিত হন।

তিনি জানান, মেলায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে। দর্শনার্থী ও মেলায় আগত দোকানিদের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় তরুণরা স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছেন।

টুরিস্ট পুলিশ বাগেরহাট জোনের ইনচার্জ মোশারেফ হোসেন বলেন, তিনদিনের এই মেলায় এখানে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। এসব ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবে। আমরা আমাদের ইউনিটের ফোন নাম্বার দেওয়ালে এবং প্রকাশ্য স্থানে টানিয়ে দিয়েছি। এছাড়া ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আমাদের নাম্বার রয়েছে, কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে আমাদের ফোন দিলেই পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌঁছে যাবে। 

Link copied!