চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মেরে ভাইরাল হওয়া বহিষ্কৃত জামায়াত কর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযান চালিয়ে আকাশকে চট্টগ্রামের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২৮ মে বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদ এবং রাজশাহীতে ছাত্র জোটের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ডাকা মানববন্ধনে হামলা চালায় ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’।
এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এদিন একজন নারীকে আকাশের লাথি মারার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আকাশ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার নেছার আহদের ছেলে।
এমন ঘটনার পরে ৩০ মে এক সংবাদ বিবৃতিতে ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আকাশ চৌধুরীকে নিজেদের কর্মী স্বীকার করে বহিষ্কার করে জামায়াতে ইসলামী। এমনকি বিবৃতিতে জানানো হয়, ঘটনার দিন আকাশ সংগঠনের অনুমতি ছাড়া সেখানে যান। এ কারণে তার দায়িত্ব দল নেবে না বলেও জানায় দলটি।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ মে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত দুটি সংগঠনের কর্মসূচিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ও ঘৃণিত দৃশ্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন ছাড়াই আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এতে বলা হয়, সেদিন প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত দুটি সংগঠনের কর্মসূচি সম্পর্কে দল আগে থেকে অবগত ছিল না। সেদিন সংঘটিত ঘটনার সঙ্গে জামায়াতের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। অতএব, এ ঘটনার কোনো দায়দায়িত্ব দল বহন করবে না। সেদিনের অনভিপ্রেত ঘটনার দায় কেবল সেখানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর বর্তায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আকাশ চৌধুরী দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সেখানে উপস্থিত হয়ে যে কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে, তা চরমভাবে নিন্দনীয়। দল কোনোভাবেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। তাই কেন্দ্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আকাশ চৌধুরীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।