মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গী এলাকায় গোখাদ্য নেপিয়ার ঘাস খেতে চাষ হচ্ছে নিষিদ্ধ মাদক গাঁজা।
সোমবার (২ জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, গোয়ালডাঙ্গী এলাকায় জনবসতির পাশেই একটি চাষযোগ্য জমিতে ঘাস লাগানো হলেও তার মাঝে মাঝে গাঁজা গাছ রোপণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই জমিতে গাঁজা চাষ করছেন স্থানীয় মন্টু মিয়া, তার স্ত্রী বাতাসি বেগম ও ছেলে আশিক। জমিটির মালিক মৃত গিয়াস উদ্দিন। তার মৃত্যুর পর মন্টু সেটি বর্গাচাষের ভিত্তিতে ব্যবহার করছেন। নিয়মিত এসব গাঁজা গাছের পরিচর্যা করেন মন্টু মিয়া। তিনি প্রতিবছরই ঘাস খেতে গাঁজা চাষ করেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রকাশ্যে এই চাষাবাদে এলাকায় বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস (ছদ্মনাম) বলেন, ‘দূর থেকে তাকালে আগাছা মনে হয়, কিন্তু কাছে গেলে দেখা যায় গাঁজার গাছ। দিনের বেলা কেউ কিছু বলে না। রাতে নাকি বাইরের লোকজন আসে গাছ দেখতে।’
জমিটির তিন পাশে বসতবাড়ি, আর উত্তর পাশে ধানখেত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এমন খোলামেলা গাঁজা চাষের ফলে গ্রামের কিশোর-তরুণরা মাদকের দিকে ঝুঁকছে। করচাবাধা ও গোয়ালডাঙ্গী এলাকায় মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন বলেন, ‘এটা আমাদের কাজ না, আপনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে জানান।’
পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘আপনি লোকেশনটা দেন। আমি এখনই লোক পাঠাচ্ছি।’
এদিকে, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গাঁজার উৎস ও এসব মাদকের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি সচেতন মহলের।