রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির স্থানীয় একটি ক্লাবে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালিয়ে সেখানে রাখা শহীদ জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলে ব্যারিস্টার রেজাউল করিমের উদ্যোগে পালশা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দুই হাজার মানুষের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়া ওই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর পালশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন ওই স্থানীয় ক্লাবে ভাঙচুর চালানো হয়।
নওপাড়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন বলেন, ‘বর্তমানে বিএনপির নামধারী কিছু দুষ্কৃতকারীরা, যাদের অতীত সরকারের সাথে সংযোগ রয়েছে, রাতের অন্ধকারে ক্লাবে থাকা শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করেছে এবং ক্লাবের চেয়ারপগুলোও ভাঙে ফেলেছে। পরে এ ঘটনার দায় বিএনপির প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে বিভেদ ছড়াতে এই দুষ্কৃতকারীরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও শিকারদের বিচারের দাবি করছি।’
ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহাবুর মন্ডল বলেন, ‘যারা শহীদ জিয়ার আদর্শ মনে ধারণ করে, তারা কখনোই শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করতে পারে না। যারা ভাঙচুর করেছে তারা আসলে শাসক দলের দোসর— আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
ওয়ার্ড কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা অভিযোগ করেন, ‘বঙ্গবন্ধু-পরবর্তীকালে সুবিধাভোগীদের মধ্যে যারা আছেন, তারাই পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ ঘটনায় প্রশাসন কিংবা পুলিশের প্রতিক্রিয়া সংযুক্ত করা হয়নি; স্থানীয় নেতারা দ্রুত সিন্ধান্তমূলক ব্যবস্থা ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।