চট্টগ্রাম নগরের নিউ মার্কেট এলাকার ঐতিহ্যবাহী দোস্ত বিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে এনসিপির শতাধিক নেতাকর্মী ওই কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় নেতৃত্বে ছিলেন এনসিপির নগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন।
ঘটনার পর কার্যালয় দখলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একদল তরুণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করছেন। তাদের সঙ্গে আরিফ মঈনুদ্দিনসহ এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দেখা যায়।
এ বিষয়ে আরিফ মঈনুদ্দিন দাবি করেন, ‘ভবনটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দীর্ঘদিন ব্যবহার হয়নি। খবরে জানতে পারি, সেখানে রাতে কিছু কার্যক্রম চালানো হয়। প্রহরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। এরপর আমরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করি এবং বিভিন্ন প্রমাণ দেখতে পাই। তাই ভবনটি তালা মেরে দুই দিন পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুল মালেক বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। এর পর থেকে কোনো নেতাকর্মী এখানে নিয়মিত আসেননি। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এনসিপির কর্মীরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তারা রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত কার্যালয়ে অবস্থান করে।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
নিউ মার্কেট এলাকার দোস্ত বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যালয় ছিল। একই ভবনে বিএনপি, বাসদসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ও রয়েছে। বহু রাজনৈতিক আন্দোলন ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই ভবনটি। ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।