ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

এবার রংপুরের পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ৬ জন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
প্রতীকী ছবি।

রংপুরের পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে নতুন করে ৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর আগেই রোববার আরও একজনের নমুনা নেওয়া হয়েছিল।

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা জানান, আক্রান্ত পাঁচজনের বাড়ি উপজেলার দাঁড়িয়াপুর গ্রামে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী। সবাই শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা নিয়ে ১৯ অক্টোবর হাসপাতালে আসেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলায় ৩৮, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭ এবং পীরগঞ্জে ১ জনসহ মোট ৭৮ জন সন্দেহভাজন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পীরগঞ্জের নতুন ৫ জন রোগীর তথ্য এখনো সেই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা বলেন, ‘এ পর্যন্ত জেলায় ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স নিশ্চিত হয়েছে। সন্দেহভাজন রোগীর সংখ্যা বেশি, কারণ অনেক সময় শরীরের ঘা শুকিয়ে গেলে নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে পীরগাছায় হঠাৎ গবাদিপশুর মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকে। এরপর বিষয়টি নজরে এলে ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পীরগাছা থেকে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। তাদের মধ্যে আটজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়।

চিকিৎসকদের ভাষ্য মতে, অ্যানথ্রাক্স একটি জীবাণুবাহিত রোগ, যা আক্রান্ত গবাদিপশুর শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত, মাংস, হাড় কিংবা নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শ থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তবে এটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। সাধারণত আক্রান্ত হলে চামড়ায় পচনধর্মী ঘা দেখা দেয়।

চিকিৎসকরা গবাদিপশুর মধ্যে এই রোগ ঠেকাতে প্রাণিসম্পদ বিভাগকে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।