বিয়ের দাবিতে সাধারণত প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেন। কিন্তু এবার মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে তার উল্টো ঘটনা ঘটেছে। প্রেমিকার বাড়িতে ফাঁসির দড়ি হাতে বসেছেন রবিউল হাসান রবি (২৮) নামের এক যুবক। দাবি পূরণ না হলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গালা ইউনিয়নের কৌড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিক রবিউল হাসান রবি হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের উত্তর মেরুন্ডি এলাকার আজাদ মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় ঠিকাদারি ব্যবসায়ী। অপরদিকে, প্রেমিকা কৌড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও মানিকগঞ্জ মহিলা কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে রবিউল ও ওই তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলে দুই পরিবার বিয়েতে প্রাথমিক সম্মতি জানায়। তবে পরে প্রেমিকা মত পরিবর্তন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার সকালে রবিউল ফাঁসির দড়ি হাতে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের গ্রাম থেকে শতাধিক লোক ঘটনাস্থলে ভিড় করেন।
প্রেমিক রবিউল হাসান রবি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও এখন সে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। এতে আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই আমি ফাঁসির দড়ি নিয়ে তার বাড়িতে এসেছি। হয় সে আমাকে বিয়ে করবে, নাহয় এখানেই আমি আত্মহত্যা করব।’
অন্যদিকে প্রেমিকা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তার (রবিউল) সঙ্গে শুধু কথাবার্তা ও কয়েকবার দেখা হয়েছিল। প্রেম বা বিয়ের কোনো সম্পর্ক ছিল না। সে ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে। আমি এই ছেলেকে বিয়ে করব না। সে মানসিকভাবে অস্বাভাবিক।’
প্রেমিকার মা বলেন, ‘আমার মেয়ে রাজি না থাকায় কিছুই করতে পারছি না। স্বামী বিদেশে থাকেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’
গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিক বিশ্বাস বলেন, ‘মেয়ে ও তার পরিবার রাজি না থাকলে বিয়ের কোনো প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
হরিরামপুর থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনো জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’