গাজীপুরে কারখানার পানি পান করে শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ

গাজীপুর মহানগরীর সাইনবোর্ড এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় পানি পান করে শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

রোববার (১ জুন) বেলা ১১টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকায় রিয়াজ এক্সপোর্ট অ্যাপারেল নামের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। 

অসুস্থদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকায় প্রতিদিনের মতো রিয়াজ এক্সপোর্ট অ্যাপারেল কারখানায় সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকরা পানি পান করে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করে। পরে তাদেরকে স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নেই ছাত্রত্ব, তবু কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে!

বিস্তারিত পড়ুন

পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, সাইনবোর্ড এলাকায় রিয়াজ এক্সপোর্ট অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের ওই কারখানায় ২ হাজার ৮ শ শ্রমিক কর্মরত। যথারীতি প্রতিদিনের মতো রোববার সকালেও শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। পরে কারখানার সরবরাহকৃত পানি পান করার পর প্রথমে কয়েকজন পেট ব্যথায় আক্রান্ত হন। 

পরে অসুস্থের সংখ্যা দেড় শতাধিকে ছাড়িয়ে যায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকরা অসুস্থদের স্থানীয় তায়রুননেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এদিকে, গুরুত্বর অসুস্থ শ্রমিকদের মধ্যে ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

রিয়াজ এক্সপোর্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের জিএম অ্যাডমিন মো. রাজন বলেন, অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। ঘটনাটির বিষয় নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।

নিম্নচাপের প্রভাবে বাঁধ ভাঙন, নৌবাহিনীর উদ্যোগে অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ

বিস্তারিত পড়ুন

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহ আলী বলেন, গুরুত্বর অসুস্থ ৬৭ জন ভর্তি আছে। এর মধ্যে ১১ জন নারী শ্রমিক অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন। তাদের গাইনি বিভাগের চিকিৎসকের নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে এবং ৭০ থেকে ৭৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে হয়। এদের মধ্যে সবাই বমি ও পেট ব্যথায় আক্রান্ত ছিলেন।

গাজীপুর শিল্পপুলিশ-২-এর পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন বলেন, সকালে কাজে যোগদানের পর শ্রমিকরা পানি পান করে অসুস্থ হতে থাকেন। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কর্তৃপক্ষ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে অসুস্থ শ্রমিকদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২-এর পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসার পর শ্রমিকরা এখন বেশিরভাগ সুস্থ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করেছে।