বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, লন্ডনে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যেভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তা অনুচিত। এ ধরনের কথাবার্তা না বলাই শ্রেয় ছিল।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘লন্ডনের বৈঠকটি দু-চারজন মেনে নিতে পারছে না। তারা বলছে, বিদেশে কেন বৈঠক হলো। আমি বলব, এসব বলা ঠিক হয়নি। কারণ আমরা সবাই মিলে ফ্যাসিবাদের পতনে আন্দোলন করেছি, জেল খেটেছি, ত্যাগ স্বীকার করেছি। লন্ডনের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যও ছিল দেশের এবং জনগণের কল্যাণ।’
শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করা। কিন্তু ১০ মাসেও সেটি হয়নি। যদিও সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে কিছু কথাবার্তা হয়েছে, তবে আমরা চেয়েছিলাম রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হোক- যেখানে আগামীর দেশ পরিচালনা, শেখ হাসিনার বিচার, জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা হতো।’
তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে একজন ‘ভালো মানুষ’ উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে নির্বাচন, সংস্কারসহ অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে শুধু বিএনপি নয়, সারাদেশের মানুষ আশাবাদী হয়েছে।’
‘তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক কোনো অপরাধ নয়। বরং অনেক আগেই এমন বৈঠক হওয়া উচিত ছিল। কারণ বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল, আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার দল। তারেক রহমান বিদেশে যাননি আনন্দ করতে, তিনি বাধ্য হয়ে দেশত্যাগ করেছেন,’—যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ রক্ষীবাহিনী দিয়ে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে, দুর্নীতি করেছে, দুঃশাসন চালিয়েছে। ১৭ বছরেও তারা লুটপাট, দমন-পীড়নের রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি। তারা কখনো সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করেনি। তাদের রাজনীতি সবসময়ই ছিল ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারকে ঘিরে।’
তিনি বলেন, ‘এই কারণেই জনগণ জুলাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন মানুষ শুধু শেখ হাসিনাদের বিচারের অপেক্ষায় আছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার, সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ফয়েজ আহম্মদ, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ, সদর (পূর্ব) উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাবু প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :