ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পুলিশের সাত সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জেরে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘটনার পর বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মহাজনবাড়ি ও সরকারবাড়ির যুবকদের মধ্যে একটি ফুটবল খেলা ঘিরে প্রথমে বিবাদ শুরু হয়, যা তখন স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে একই মাঠে আবারও খেলায় অংশ নেয় দুই গোষ্ঠীর তরুণরা। খেলার সময় মহাজনবাড়ির নুরুল হকের ছেলে ইয়াছিন কবরস্থান থেকে ফুল ছিঁড়ে আনে। পরে সরকারবাড়ির ফাইজুর রহমানের ছেলে আসিফ স্কুলের আঙিনা থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ৮টার দিকে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মহাজনবাড়ির পক্ষে মোল্লাবাড়ি ও আছিরের বাড়ি এবং সরকারবাড়ির পক্ষে জাকির মিয়ার বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র—দা, টেঁটা, বল্লম ও লাঠিসোটা—নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। সরকারবাড়ির একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের সাত সদস্য আহত হন এবং একটি পুলিশ পিকআপ ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহতদের আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘খেলা চলাকালে একজন দর্শক কবরস্থানের একটি গাছ থেকে ফুল ছেঁড়ার ঘটনা থেকেই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। পরে পশ্চিমপাড়া ও পূর্বপাড়ার কয়েকটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
আপনার মতামত লিখুন :