পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা আবাসন থেকে ডাকাতিয়া খাল হয়ে তালুকদার বাজার পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ মাটির সড়কটি দীর্ঘ তিন যুগ ধরে সংস্কার বা পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কজুড়ে পানি জমে কাদায় পরিণত হওয়ায় হাজারো মানুষকে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি শ্রীরামপুর, মুরাদিয়া ও মৌকরণ- এই তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও রোগী পরিবহনসহ সর্বস্তরের মানুষ এই পথেই উপজেলা শহর ও জেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন।
তালুকদার বাজার ও কলবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এখন সড়কের কর্দমাক্ত অবস্থার কারণে দুমকি ও পটুয়াখালী থেকে পণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি অটো, রিকশা, মোটরসাইকেল চলাচলেও চরম বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষকরা জানান, সড়কটি দিয়ে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিনটি দাখিল ও ফাজিল মাদ্রাসা, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তিনটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রতিদিন যাতায়াত করেন। কিন্তু কাদাপানির কারণে পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে।
১৪নং শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পারভিন আক্তার বলেন, ‘আমি প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করতাম। এখন বিকল্প পথে ৫ কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যেতে হচ্ছে, এতে সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হচ্ছে।’
দক্ষিণ মুরাদিয়া বায়তুল আমান দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রুহুল আমিন বলেন, ‘রাস্তাটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। দ্রুত পাকাকরণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
লতিফ মোহসেনা পাবলিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহিন খান বলেন, ‘তিন যুগেও রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পেলে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এই সড়কটি উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :