বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

ছেলেকে ‘আইনস্টাইন’ বলে ডাকতাম: কফিন দেখে বাবার আহাজারি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

কান্নায় ভেড়ে পড়েন সায়ানের বাবা ইউসূফ। ছবি- সংগৃহীত

কান্নায় ভেড়ে পড়েন সায়ানের বাবা ইউসূফ। ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সায়ান ইউসুফ (১৪) ছিলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পালবাড়ির সন্তান।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে গ্রামে পৌঁছালে দেখা যায়, পরিবারের আহাজারিতে ভারী হয়ে আছে বাতাস। মরদেহ তখনো পৌঁছেনি বাড়িতে। 

পৌনে ১টার দিকে সায়ানের মরদেহবাহী গাড়ি বাড়ির সামনে পৌঁছায়। গাড়ির শব্দ শুনেই কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসেন দাদি। স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান।

‘ও বাবু, আমার সোনামনি কই, ওরে মা গো, আমার সোনামনি কই!’ বলে বুকফাটা আহাজারিতে ভেঙে পড়ছিলেন সায়ান ইউসুফের দাদি কামরুন নাহার। 

১০ মিনিট পর আরেকটি গাড়িতে আসেন সায়ানের বাবা—মাইলস্টোন কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এএফএম ইউসুফ। গাড়ি থেকে নামতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। 

বন্ধু ও স্বজনদের জড়িয়ে ধরে বলতে থাকেন, ‘‘আমি তো কারও ক্ষতি করিনি। আমার ছেলে মেধাবী ছিল, ক্লাসে প্রথম হতো। এত স্মার্ট, এত ভদ্র ছিল—আমি ওকে সবসময় ‘আইনস্টাইন’ বলে ডাকতাম। কখনো মিথ্যা বলত না। আমার সঙ্গে এমন কেন হলো?’’

সায়ানের চাচা মিজানুর রহমান বলেন, ‘দগ্ধ শরীর আর কাঁধে ব্যাগ নিয়ে সায়ান নিজেই ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসে। ভিডিওতে দেখা যায়, সবার আগে বের হওয়া সেই ছেলেটিই ছিল সায়ান। পরে বাবা-মা তাকে শনাক্ত করেন।’

সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিকেল ৩টায় জানাজা শেষে দাফন করা হয় তার দাদা ডা. মাকসুদুর রহমানের কবরের পাশে।

সায়ানের বাবার বন্ধু মো. দিদার বলেন, ‘ইউসুফের এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলেকে আমেরিকায় পড়াতে চেয়েছিল সে। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। জনবহুল এলাকায় কেন বিমান প্রশিক্ষণ? যেখানে লোকজন কম, সেসব জায়গায় এমন প্রশিক্ষণ হওয়া উচিত।’

সায়ান ছাড়াও একই ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আফনান ফায়াজ নামের আরও এক শিক্ষার্থী নিহত হন। সপ্তম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় দাফন করা হয়েছে।

নিহত সায়ান ইউসুফ রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা এএফএম ইউসুফ কলেজ শাখার সহকারী অধ্যাপক এবং মা শামীমা শাম্মী স্কুল শাখায় রসায়নের শিক্ষক। ছোট বোন ফারিশা পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে। পরিবারটি উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে ভাড়া থাকে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!