মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০৭:৩২ এএম

শেফালী হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০৭:৩২ এএম

ময়মনসিংহ গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সামনে গৃহবধূ মোছা. শেফালী আক্তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহ গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সামনে গৃহবধূ মোছা. শেফালী আক্তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গৃহবধূ মোছা. শেফালী আক্তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন আব্দুল কদ্দুস, জিয়াউর রহমান, আলমগীর হোসেন ও লিটন মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, নিহত শেফালীর উপর হামলা করার পর সাধারন ডায়রি করার জন্য গৌরীপুর থানার এসআই ফেরদৌস উৎকোচ গ্রহন করেন।

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ওসি দিদারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাধারন ডায়রি করার জন্য টাকা গ্রহন করার বিষয়ে তাকে কেউ অভিযোগ করেনি।

তবে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মামলার পরও দীর্ঘ সময় পার হলেও আসামিরা এখনও আইনের আওতায় আসেনি।

তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বক্তারা, অবিলম্বে শেফালী আক্তার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

শেফালী আক্তার (৩২) ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানাধীন ৪নং মাওহা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম মো. কাজল মিয়া।

মামলার এফআইআর থেকে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯ মিনিটের দিকে নিজের বসতবাড়িতে বিবাদী শেফালীর স্বামী মো. শাহজাহান মিয়া, মোছা. আম্বিয়া, মোছা. কবিতা আক্তার ও মো. রবিকুল ইসলাম পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শেফালীর ওপর হামলা চালায়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই হামলায় শেফালীর মাথায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কাটা জখমসহ হাত-পায় কেটে হাড় ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তারা ঘরে থাকা শেফালীর ৫০ হাজারটাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে আনুমানিক ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।

এতে শেফালী গুরুতর আহত হোন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বলে মামলার বিবরণীতে বলা হয়।

ওইদিনে শেফালীর অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে ১৮ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ১৪ অক্টোবর  মৃত্যুবরণ করেন শেফালী।

এ ঘটনায় গত ২ অক্টোবর বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় ৮ জনকে বিবাদী  করে একটি মামলা দায়ের করেন শেফালীর পিতা আব্দুল কুদ্দুস।

Link copied!