ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলিতে ডাবল মার্ডারের ঘটনার মূল আসামি রিফাত বাহিনীর প্রধান রিফাতসহ আরও একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচরের খোসকান্দি গ্রাম থেকে রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৭ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। তার সহযোগী লিমানকে নবীনগর উপজেলার থোল্লাকিন্দ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকসহ ছয়টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৯ (সিপিসি-১) কমান্ডার মো. নুরনবী জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি গ্রামের গণিশাহ মাজারের আধিপত্য নিয়ে রিফাত বাহিনী ও নুরজাহানপুর গ্রামের শিপন বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ১ নভেম্বর শিপনের ওপর হামলা চালায় রিফাত বাহিনী। এতে শিপন ও হোটেলের কর্মচারী ইয়াছিন ও নূর আলম গুলিবিদ্ধ হন। রাতেই শিপন মারা যান এবং ৩ নভেম্বর ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।
র্যাব জানায়, ঘটনার পর থেকে আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় ৭ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুরে র্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৪৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। রিফাতের তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী লিমনকে গ্রেপ্তার করে বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৭ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়।
র্যাব-৯ (সিপিসি-১) কমান্ডার আরও জানান, হামলার অন্যান্য আসামি ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



