চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে দুটি ব্যতিক্রমী কোরবানির ষাঁড় ‘লালু সর্দার’ ও ‘কালিয়া’।
বিশাল আকৃতি, সুঠাম গঠন এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালনের কারণে এরইমধ্যে স্থানীয় হাটবাজার পেরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ষাঁড় দুটি।
ষাঁড় দুটি লালনপালন করছে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের খামার ‘এমএইচবিএম এগ্রো’, যার কর্ণধার মেহেদী হাসান বাবু মিয়াজী।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোনো প্রকার কৃত্রিম হরমোন বা ওষুধ ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে এবং প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে পশুগুলোর পরিচর্যা করা হয়েছে। গরুগুলোর প্রতি রয়েছে সন্তানের মতো ভালোবাসা। খামারে প্রতিটি গরুর দেখভাল করা হয় নিবিড়ভাবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সম্পূর্ণ মানবিক পদ্ধতিতে।’
লাল রঙের ‘লালু সর্দার’ ও কালো রঙের ‘কালিয়া’ দুটিই হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। ‘লালু সর্দারের’ ওজন ১২ থেকে ১৩ মণ।
গত কোরবানি হাটে উঠলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় বিক্রি করা হয়নি। এবার তার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, ‘কালিয়ার’ ওজন ১৪ থেকে ১৫ মণ। এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গরুটির মালিক বাবু মিয়াজী জানান, আকাশছোঁয়া দাম চেয়ে লাভ নেই। আমি ফিক্সড দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। মতলব উত্তর উপজেলার ভেতরে কেউ কিনলে বাড়ি পর্যন্ত ফ্রি ডেলিভারি দিচ্ছি।
‘লালু সর্দার’ ও ‘কালিয়া’ ছাড়াও বাবু মিয়াজীর খামারে রয়েছে আরও দুটি বিশাল গরু—‘সুন্দর আলী’ ও ‘কালো বীর’। প্রতিটি গরুই রয়েছে আকর্ষণীয় দৈহিক গড়ন ও স্বাস্থ্য। এসব গরুর ছবি ও ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।