কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত লকডাউনের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি কক্সবাজার জেলায়। তবে জেলাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার রেখেছে সেনাবাহিনী। সম্ভাব্য নাশকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রতিরোধে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে জেলার কলাতলী মোড়, বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর সড়ক ও লালদীঘিরপাড় এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল জোরদার দেখা গেছে। শহরের পার্শ্ববর্তী লিংকরোড, রামু, কোটবাজার ও উখিয়া এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট।
এসব চেকপোস্টে নিয়মিতভাবে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে জেলাজুড়ে লকডাউনের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগের ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের লকডাউনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন সংস্থা—সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব—যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়াও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে রয়েছে।
পর্যটন এলাকার হোটেল-মোটেল, সমুদ্রসৈকত ও জনবহুল স্থানে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের এই লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে এবং প্রতিরোধে পর্যটন শহরে বিএনপি, জেলা যুবদল, ছাত্রদল, জামায়াত-শিবির, এনসিপি ও মুক্তিযোদ্ধারা সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ ছাড়া কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিলও হয়েছে।
সবশেষে, অনলাইনে ঘোষিত আওয়ামী লীগের এই লকডাউনের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি কক্সবাজার জেলায়। যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক, আর নিরাপত্তা জোরদারের কারণে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।



