গাজীপুরের শ্রীপুরে এক পোশাক শ্রমিককে (৩৫) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে জঙ্গলে দলবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা সালিশ বৈঠকে মীমাংসার নাম করে ভুক্তভোগীকে থানায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে ভুক্তভোগীর স্বামী তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- গোসিঙ্গা ইউনিয়নের পটকা গ্রামের সুমন (২৫), আল আমিন (৩০) ও শান্ত (২২)।
ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগী নারী বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে অভিযুক্তরা পথরোধ করে তাকে জাপটে ধরেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে গামছা দিয়ে তার মুখ বেঁধে পাশের জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাত ১২টার দিকে সেখানে ফেলে যান।
ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, তারা যাওয়ার আগে বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দেন। পরে ভুক্তভোগী তার স্বামীকে ফোন করলে তিনি এসে জঙ্গল থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। পরদিন সকালে তিনি বিষয়টি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অভিভাবকদের জানান।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘ঘটনাটি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অভিভাবকদের জানানোর পরপরই আমাদের ওপর হুমকির মাত্রা বেড়ে যায়। তারা সালিশ বৈঠক বসায়। আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সময়ক্ষেপণ করে। থানায় যেতে বাধা দেয়। তবু হুমকি উপেক্ষা করে থানায় এসেছি, বিচার চাই। আমার স্ত্রীর ওপর ওরা অমানবিক নির্যাতন করেছে।’
এ বিষয়ে শ্রীপুরে থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, অভিযোগ পাওয়ামাত্র পুলিশের দুটি টিম পাঠানো হয় অভিযুক্তদের আটক করতে। পাশাপাশি ধর্ষণের মতো একটি বিষয়ে যারা সালিশ বৈঠক করেছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসি বলেন, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।