বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে এক গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যা রূপ নিতে পারে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। একে মোকাবিলায় ও মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, মে মাসের শেষদিকে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘শক্তি’, যার নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে, যার ফলে উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এরইমধ্যে দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ ঘুরপাক খাচ্ছে এবং অচিরেই বঙ্গোপসাগরেও একই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ দুটি মিলিতভাবে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি ভারতের ওডিশা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও।
ইতিমধ্যে ভারতের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল ও কমলা সতর্কতা। মহারাষ্ট্র ও গোয়ার উপকূল অঞ্চলগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। কঙ্কন উপকূলেও অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। ২৩ ও ২৪ মে মুম্বাইতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা এবং জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে, যা যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বড় ধরনের ধাক্কা দিতে পারে। কৃষিজমি ও গবাদিপশুর ওপর ক্ষতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।