সম্মেলন হলেও রাজশাহী মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা হয়নি। তবে পুরনো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটি আসবে ঢাকা থেকে। নতুন কমিটি না আসা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর বিএনপির দায়িত্বে থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা।
রোববার (১০ আগস্ট) মহানগর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে এই সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রাতে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নির্দেশে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হলো। মহানগর বিএনপির দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম ও এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন।’
এর আগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এরশাদ আলী ঈশাকে আহ্বায়ক ও মামুন অর রশিদ মামুনকে সদস্যসচিব করে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাস পর আহ্বায়ক কমিটির পরিধি বাড়িয়ে ৬১ সদস্যের করা হয়।
তার পর থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে এই আহ্বায়ক কমিটিতেই রাজশাহী মহানগর বিএনপি চলছিল। এই কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্ব আসেনি-এমন অভিযোগ তুলে দলটির রাজশাহীর শীর্ষ নেতারা তাদের সঙ্গে কোনো সভা-সমাবেশে অংশ নিতেন না। বিরোধ ছিল অনেকটাই প্রকাশ্যে।
এই বিরোধের জের ধরে দলীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। কিছুদিন ধরে আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করার দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। অবেশেষে রোববার এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।
এর আগে ২০০৯ সালে মহানগর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠান হয়েছিল। প্রায় দেড় দশক পর এমন আনুষ্ঠানিক সম্মেলন হলো। সম্মেলনে কাউন্সিলর-ডেলিগেটরা ছিলেন। তবে ভোটাভুটি হয়নি। কমিটি ঘোষণাও হয়নি। বিকেলে কোনো কমিটি না দিয়েই মঞ্চ ছাড়েন কেন্দ্রীয় নেতারা।