ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

শরীয়তপুরে আলোচিত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ৪

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
ভুক্তভোগী নারী। ছবি- সংগৃহীত

শরীয়তপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে পালং মডেল থানায় একজনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নারী। অভিযোগের পর এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর শহরের বন বিভাগের কার্যালয়ের ভেতরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ তোলে ভুক্তভোগী ওই নারী।

প্রথমে অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করে, পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বন্ধুর সঙ্গে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় কয়েকজন যুবক তাদের সড়ক থেকে জোরপূর্বক বন বিভাগের কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে যায় এবং তাদের মারধর করে টাকা দাবি করে। পরে টাকা দিতে না পারায় তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।

ঘটনাটির খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভ দেখা দেয়। নেটিজেনরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন। তবে পরদিন সকালে ঘটনার মোড় ঘুরে যায়।

জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী কোনো কলেজ শিক্ষার্থী নন, তিনি দুই সন্তানের জননী।

আরও জানা যায়, সঙ্গে থাকা ব্যক্তি তার বন্ধু নন, গত তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং সেদিন তারা মাদারীপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

এমনকি ভুক্তভোগীর অভিযোগেও আসে পরিবর্তন।

তিনি জানান, বাস্তবে তাকে একজন ব্যক্তি যৌন নির্যাতন করেছে এবং আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিল।

পূর্বে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সঙ্গে থাকা প্রেমিক তাকে ‘মামলা শক্ত করার জন্য’ তিনজনের নাম বলতে বলেছিল।

ভুক্তভোগীর দাবি, যিনি তাকে নির্যাতন করেছেন, তিনি চিনতে পেরেছেন এবং ঘটনার সময় মারধর করে একটি আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা হয়।

পালং মডেল থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, ভুক্তভোগী বুধবার রাতে আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এরই মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।