বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমন ছাত্র রাজনীতি দেখতে চান শিক্ষার্থীরা

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম

বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমন ছাত্র রাজনীতি দেখতে চান শিক্ষার্থীরা

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

ঢাবি: জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেমন ছাত্র রাজনীতি চাই‍‍` শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। রবিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে এই সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সভায় বক্তারা এমন ছাত্ররাজনীতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, যা লেজুড়বৃত্তি পরিহার করে, যা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের কথা বলে, গণতন্ত্রকে লালন করে এবং যা সকল দলের সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তাছাড়া নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা বলেন বক্তারা।

ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, আজকের যে অবস্থানে এসেছি সেটা ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে। অনেকে রাজনীতি নিষিদ্ধ চায় নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক।

তিনি বলেন, সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য পেশি শক্তি প্রয়োগ করে। আর অনেক শিক্ষক তাদের সহায়তা করে। ছাত্রদের অধিকার আদায়ে অনেকবার আহত হয়েছি কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতেগুনা শিক্ষক এই অন্যায়ের বিরূদ্ধে দাড়ায়। সুতরাং অপরাজনীতি বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও সক্রিয় হতে হবে।

এসময় নুর দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া এবং আওয়ামী লীগ ও তার সকল অঙ্গ সংগঠনের নিষিদ্ধের কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরীদি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে। শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে তো বাইরে থেকে গুন্ডা আনতে পারবে না তাই হলের সিটগুলো দখল করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাখে।

তিনি বলেন, সবাই অপরাজনীতি বন্ধ করতে চায়, রাজনীতি না। বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি চর্চারও জায়গা। অনেকে অপরাজনীতি করারা সাহস পায় আইনের শাসন না থাকার কারণে।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হতে পারে না উল্লেখ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন আহমদ বলেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে দেশে অন্ধকার নেমে আসবে, সরকার কর্তৃত্বপরায়ণ হবে। জাতীয় স্বার্থে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ছাত্ররাজনীতি থাকবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের সাথে ছাত্র সংগঠনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে তবে কারো আদেশে অন্য মতাদর্শে বিশ্বাসীদের উপর ঝাপিয়ে পড়তে পারবে না। যেই সংগঠনগুলো রাজনীতিতে আসবে তারা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবে।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন বলেন, ছাত্র রাজনীতি হবে দলীয় দাসত্ব ও লেজুড়বৃত্তি মুক্ত রাজনীতি। ছাত্র সংগঠনগুলোতে অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা থাকবে। ছাত্র সংগঠনগুলোতে মেধা, গণতন্ত্র ও বুদ্ধিভিত্তিক প্রতিযোগিতা হবে। দলগুলো শিক্ষার্থীদের মন জয় কারা নিয়ে প্রতিযোগিতায় থাকবে।

এসময় সুসম পদ্ধতিতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে ডাকসুর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। 

আরবি/এস

Link copied!