পিরোজপুর সদরে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্মাণাধীন ৩টি সেতুর কাজ বছরের পর বছর ফেলে রেখেছে ঠিকাদার।
এতে যাতায়াত ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেতুগুলোর কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী।
পিরোজপুর সদরের সঙ্গে শারিকতলা ইউনিয়নের যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ পথ কুমিড়মারা-শারিকতলা-ডুমুরিতলা সড়ক। এই সড়কে থাকা শারিকতলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সেতু, কুমিড়মারা আবাসন এবং নলবুনিয়া বাজার সেতুর কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
সেতুগুলো দেখে মনে হবে পরিত্যক্ত। আংশিক নির্মাণের পর বছরের পর বছর ফেলে রাখা হয়েছে এগুলো। ঠিকাদারের উদাসীনতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ। বর্ষা মৌসুমে কাদা-পানিতে চলাচল করা হয়ে ওঠে দুঃসাধ্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় ঠিকাদার কাজ শেষ না করেই টাকা তুলে নিয়েছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু নির্মাণে গতি আসছে না।
তবে এলজিইডি জানিয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। পিরোজপুর সদর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হচ্ছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত সেতুগুলোর কাজ শেষ করা হবে।’