আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চে ফের মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী - স্পেন ও পর্তুগাল। একপাশে ৩৯ বছরের অভিজ্ঞ ‘ফুটবল রাজপুত্র’ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, অন্যপাশে ১৭ বছরের বিস্ময়-বালক লামিনে ইয়ামাল। দুই প্রজন্মের দুই তারকাকে সামনে রেখে রোমাঞ্চের নতুন অধ্যায় লিখতে চলেছে উয়েফা নেশন্স লিগ ফাইনাল।
পরশু রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে শিরোপার লড়াই। সেমিফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে প্রথমে ফাইনালে ওঠে পর্তুগাল, আর তার পরদিন ৯ গোলের থ্রিলারে ফ্রান্সকে হারিয়ে স্পেন নিশ্চিত করে দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট হিসেবে জায়গা।
তবে এই ম্যাচ শুধু একটা ফাইনাল নয়, বরং পুরনো ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় গড়া এক রোমাঞ্চকর দ্বৈরথ। স্পেন-পর্তুগালের লড়াই মানেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের অনন্য উত্তাপ।
২০১২ ইউরোর সেমিফাইনাল কিংবা ২০১৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিক - প্রতিবারই দুই দলের লড়াই জন্ম দিয়েছে ক্লাসিক ম্যাচের।
নেশন্স লিগেও পিছিয়ে নেই এই দ্বৈরথ। আগের মৌসুমগুলোতে গ্রুপ পর্বে বারবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল, ফলাফল ড্র হলেও প্রতিটি ম্যাচ ছিল টানটান উত্তেজনায় ভরা। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলে না, আর এবার বাজি আরও বড় - শিরোপা।
ফাইনালকে সামনে রেখে ইয়ামাল জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রোনাল্ডো একজন কিংবদন্তি, সবাই ওনাকে শ্রদ্ধা করে। কিন্তু মাঠে আমার কাজ একটাই - দলকে জেতানো’।
অন্যদিকে, রোনাল্ডোর চোখে এই শিরোপা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ধাপের আরও এক মুকুট হতে পারে।
স্পেন চায় ইয়ামালের মতো তরুণদের নিয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করতে, আর পর্তুগাল চায় রোনাল্ডোর নেতৃত্বে ২০১৮ সালের পর আবার আন্তর্জাতিক শিরোপা ঘরে তুলতে।
দুই দেশের ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ - সব মিলিয়ে রোববারের ফাইনাল হতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ফুটবলের এক মহা দ্বৈরথ।