ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে ইরানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ভেতর ইরান ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্নতা থাকলেও যুদ্ধবিরতির পর সিদ্ধান্ত বদলেছে তাদের। ১২তম দিনে যুদ্ধবিরতির পর আর ইরান ছাড়তে চাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা। কিন্ত প্রশ্ন উঠছে কেন?
ইরান থেকে দেশে ফেরত আসতে এখন পর্যন্ত ২৫০ বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৯০ জনকে পাকিস্তানের স্থল সীমান্ত দিয়ে ফেরত আনা হবে। ইরান থেকে পাকিস্তান সীমান্ত প্রবেশ সহজ করতে এদের তথ্য ইসলামাবাদের কাছে দিয়েছে ঢাকা।
৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৩০ জনের একটি দল তেহরান থেকে ইরান-পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের তাফতান সীমান্তের দিকে রওয়ানা দিয়েছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে দলটি পাকিস্তান পৌঁছাবে। এ দলটি বাংলাদেশে ফেরত আসছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবং তেহরান ও এর আশপাশে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে যেভাবে হামলা চালানো হয়েছিল, তাতে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।
তবে দুই দেশের অস্ত্র বিরতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসছে। ফলে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আসতে আগ্রহীদের সংখ্যা কমছে।
ফেরত আসতে আড়াই’শ নিবন্ধন করলেও পাকিস্তান হয়ে ফেরত আনতে প্রায় ৯০ জনের তালিকা ইসলামাবাদকে দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে গতকাল বুধবার পর্যন্ত প্রথম ৪০ জন এবং পরে ৩০ জনের মতো ফেরত আসতে চাইছেন। বাকিরা পরিস্থিতি বিবেচনায় থেকে যেতে চাইছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ বিষয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর ফেরত আসতে আগ্রহীদের জন্য সুযোগ খোলা রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে না আসা পর্যন্ত ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়েও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ইরানে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। এর মধ্যে তেহরানে রয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। দেশটিতে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৭২ জন, যাদের মধ্যে শিক্ষার্থী রয়েছেন ৬৬ জন।
দেশে ফিরতে আগ্রহীদে নাম-ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্যসহ বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধণের আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যে কোনো তথ্য ও সহায়তার জন্য হটলাইন নম্বরগুলোয় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে: বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরান (হটলাইন): +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮, +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা (হটলাইন): +৮৮০১৭১২০১২৮৪৭।
আপনার মতামত লিখুন :