ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের রোষের মুখে আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার।  ছবি - সংগৃহীত

মঙ্গলবার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের রোষের মুখে পড়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার। 

বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার। 

তবে সেখানে গিয়েই দুই উপদেষ্টা পড়েন শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভ ও বিক্ষোভের মুখে। চারদিক থেকে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষমেশ তারা স্কুল ভবনের ভেতরে আশ্রয় নেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সরকার এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণায় অযথা সময় নিয়েছে অথচ এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় দ্রুত ও মানবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। 

একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবি, আহত ও নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে। এই ক্ষোভ থেকেই তারা উপদেষ্টাদের উদ্দেশ করে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই দিয়াবাড়ি গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে ছয় দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছেন মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি গুলো হচ্ছে-

১. দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম ও পরিচয় সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হবে। 

২. আহতদের নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। 

৩.ঘটনাস্থলে শিক্ষকদের সঙ্গে সেনাসদস্যদের ‘হাত তোলার’ ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। 

৪. নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। 

৫. বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল করে নিরাপদ ও আধুনিক প্লেন চালু করতে হবে। 

৬. প্রশিক্ষণ এলাকা ও ব্যবস্থাপনাকে মানবিক ও নিরাপদভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে।

সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পরে উপদেষ্টারা ক্যাম্পাসে পৌঁছালে ছাত্রছাত্রীদের এই উত্তাল বিক্ষোভে তারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া তো দূরের কথা, নিরাপত্তার চাপে দ্রুতই স্কুল ভবনে ঢুকে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে স্পষ্ট, তারা এই দুর্ঘটনাকে নিছক ‘দুর্ঘটনা’ হিসেবে মানতে নারাজ। তাদের চোখে এটি উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার ফল, যার জবাবদিহি তারা চাইছেন এখান থেকেই।