ঢাকা সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

খেলা দেখা নিয়ে বিরোধে যুবদল নেতার গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ২ জামায়াত কর্মী

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
গুলিবিদ্ধ মো. সজীব হোসেন (২০) ও মো. তুষার (২১)। ছবি- সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে বিরোধের জেরে জামায়াতে ইসলামীর দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (১৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে গোপালপুরের বেতুয়াবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- গোপালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের সদস্য মো. সজীব হোসেন (২০) ও মো. তুষার (২১)। তারা দুজনেই স্থানীয় বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্র ও জামায়াত নেতাদের দাবি, গত ১৫ আগস্ট গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে ‘মনির পাটোয়ারী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’ উপলক্ষে খেলা দেখতে গিয়ে জামায়াত কর্মী রাসেলের সঙ্গে বিএনপির কর্মী মানিকের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

একই দিন সন্ধ্যায় যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদল কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি মহড়া দেয় এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে শনিবার রাতেও এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তারা।

রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্থানীয় গণ্যমান্যদের মধ্যস্থতায় সমঝোতার উদ্দেশ্যে বৈঠক বসে। কিন্তু বৈঠক শেষে যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা আবারও হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন গোপালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন।

তিনি জানান, ‘যুবদল কর্মী হাবিবের নেতৃত্বে লেদু, সোহেল, ফয়সাল, আশরাফ, হাসেম, মেরাজ ও মানিক গুলি ছোড়ে। এতে জামায়াতের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।’

ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল নেতা দাবি করেছেন, জামায়াতের কর্মীরা তাদের ঘিরে ফেলায় তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান। তার ভাষায়, ‘নিজে বাঁচলে বাপের নাম।’

এদিকে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরে জানাব।’

তিনি আরও দাবি করেন, এ ঘটনায় যুবদলের কেউ জড়িত নয়। স্থানীয় কিছু কিশোর গ্যাং এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।

বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান জানান, ‘ফুটবল খেলা কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একটি সমঝোতা বৈঠক বসে, কিন্তু বৈঠকের পর গুলি চালিয়ে দুজনকে আহত করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘গুলির ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেনি, তবুও পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা করছে।’