ঢাকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

উপদেষ্টা মাহফুজের বক্তব্যে বিভ্রান্তি এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
সরকারের লোগো। ছবি- সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের পর 'উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম' নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, উপদেষ্টা পরিষদ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে এবং কোনোভাবেই থামবে না।

এর আগে রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার ডিআরইউ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে মাহফুজ আলম তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কার্যক্রম এবং উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন। তার বক্তব্যের পরে গণমাধ্যমে তা প্রকাশিত হলে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক পরিষ্কার করা হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাহফুজ আলমের ওই বক্তব্যে যে মন্তব্য করা হয়েছিল, ‘নভেম্বরের পর আর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হবে না, তা সঠিক নয়। সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম এবং সংস্কার প্রক্রিয়া নভেম্বরের পরেও চলমান থাকবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উপদেষ্টা পরিষদ তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংস্কার কার্যক্রমও পূর্ণোদ্যমে চলতে থাকবে এবং তা থেমে যাবে না।’

অতএব, যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন দূর করা হয়েছে এবং পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে যে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এবং কার্যক্রম আগের মতোই নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়ন কার্যক্রমও চলবে।

রোববারের অনুষ্ঠানে মাহফুজ আলম সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য হাতে সময় কম থাকার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের যে সময়সীমা ছিল, আগে তা ছিল তিন মাস, কিন্তু এখন মাত্র এক মাসের মতো সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে যেসব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, সেগুলো ক্যাবিনেটের মাধ্যমে করা হবে। অথবা কিছু নীতিমালা ও অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নভেম্বরের পর আমরা এসব কাজ করতে পারব না, কারণ তখন ক্যাবিনেট মিটিং বন্ধ হয়ে যাবে এবং নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। এরপর নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আর ক্যাবিনেট মিটিং হবে না।’

মাহফুজ আলমের এই বক্তব্যের পর থেকেই কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়, যেহেতু এটি বোঝানো হচ্ছিল যে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এবং সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ‘এটা সঠিক নয়। উপদেষ্টা পরিষদ এবং সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে কাজ করবে এবং নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। 

এ ছাড়া, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সরকারের সংস্কার কাজ নির্বাচন পর্যন্ত চলবে এবং থেমে যাবে না।