ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলির মধ্যে যখন যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছিল, তখন নীরবে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
টানা ৪৮ ঘণ্টা দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছেন তাঁরা। বিষয়টি রুবিও নিজেই জানিয়েছেন এক্সে দেওয়া পোস্টে।
রুবিও লেখেন, তিনি ও জেডি ভ্যান্স গত দুই দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন। সেই আলোচনার ফলেই যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়।
তিনি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে এবং নিরপেক্ষ স্থানে নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করবে।’ তিনি মোদি ও শরিফের ‘প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা’র প্রশংসাও করেন।
রুবিওর পোস্টের কিছুক্ষণ পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এক্সে লেখেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। শুভ বুদ্ধির ব্যবহার করে উভয়পক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ এর পরপরই দুই দেশ যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও জলপথে সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। ওইদিন বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের ডিজিএম ভারতের ডিজিএমকে ফোন করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসাক দার এক্সে লেখেন, ‘পাকিস্তান সব সময় এই অঞ্চলের শান্তি চায়। তবে সার্বভৌমত্বের বিষয়ে কখনোই আপস করেনি।’
যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের আকাশসীমা সব ধরনের ফ্লাইট চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
চুপিচুপি হলেও মার্কো রুবিও ও জেডি ভ্যান্সের তৎপরতাতেই এই যুদ্ধ থেমেছে, এখন অন্তত সেটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্র।
আপনার মতামত লিখুন :