জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্র, ধর্ম, নারীসহ বিভিন্ন বিষয়ে দলটির দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
সোমবার (১৯ মে) নাহিদ ইসলাম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেন, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন হচ্ছে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের প্রথম ধাপ। একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন, প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই এনসিপির পথচলা। এ ছাড়াও আমরা বাংলার হিন্দু-মুসলমান-দলিতের উপনিবেশবিরোধী ও ব্রাহ্মণ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিকতাকে রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করি।
তিনি ফেসবুক পোস্টে বলেন, এনসিপি সেকুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং এনসিপি নাগরিকের ধর্মবিশ্বাস ও আত্মিক অনুভবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তিনি আরও বলেন, এনসিপি জাতি, ধর্ম বা গোত্রভিত্তিক পরিচয়ের পরিবর্তে সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয় ধারণ করে। বহু ভাষা ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র বঙ্গীয় ব-দ্বীপের সভ্যতাগত পরিচয়কে ধারণ করে জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলবে এনসিপি।
আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি পারিবারিক আইনের আওতায় সম্পত্তিতে নারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে কাজ করবে। কারণ নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন এনসিপির অন্যতম মূলনীতি। তাই নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতে এনসিপি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
নাহিদ ইসলাম এনসিপির অর্থনৈতিক ভিশন সম্পর্কে বলেন, এনসিপি বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক দুর্নীতিমুক্ত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অনুরূপ হবে। শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু, নগর ব্যবস্থাপনা, শ্রম অধিকার ও কর্মসংস্থান হবে এনসিপির প্রধান নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন তৈরির ভিশন আছে এনসিপির।
আপনার মতামত লিখুন :