বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

সান্ডা খাওয়া কি জায়েজ, কি বলে ইসলাম

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

সান্ডা খাওয়া কি জায়েজ, কি বলে ইসলাম

সান্ডা। ছবি: সংগৃহীত

সান্ডা খাওয়া হারাম নয়, বরং হালাল। ইসলামে হালাল ও হারামের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। তবে কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো সরাসরি কুরআন-হাদীসে উল্লেখ না থাকায় আলেমগণ ফিকহি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার বিধান নির্ধারণ করেন। তেমনই একটি বিষয় হলো সান্ডা খাওয়া। 

সান্ডা কী?

সান্ডা হলো একটি মরুভূমির প্রাণী, দেখতে গিরগিটির মতো, তবে বড় এবং শক্ত পোক্ত গঠনবিশিষ্ট। আরবি ভাষায় একে "দাব্ব" (ضبّ) বলা হয়। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। বর্তমানে অনেক এলাকায় একে ওষুধ বা শক্তিবর্ধক খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

হাদীস অনুযায়ী সান্ডা খাওয়া কী?

ইসলামী শরীয়তের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হলো কুরআন ও সুন্নাহ। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবনে সান্ডা খাওয়া নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে।

হাদীসের ঘটনা:

একবার নবী করিম (সা.)-এর সামনে সান্ডা পরিবেশন করা হয়। তিনি সেটা খাননি। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি এটি খেতে অপছন্দ করেন, না কি এটি হারাম?"
তিনি উত্তরে বললেন:
“এটি আমার কওমের খাদ্য নয়, তাই আমি খাই না।”
(সহীহ বুখারী: ৫৫৩৭, সহীহ মুসলিম: ১৯৪৪)

অর্থাৎ, তিনি নিজে না খেলেও সাহাবীদের খেতে মানা করেননি। এমনকি সাহাবীগণ তার সামনে তা খেয়েছেন।

ফিকহবিদদের মতামত

ফিকহবিদগণ এই হাদীসগুলো বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন মাযহাবে সান্ডা খাওয়ার হুকুম নির্ধারণ করেছেন।

হানাফি মাযহাব:

  • ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন: সান্ডা খাওয়া মাকরূহ তাহরিমি। অর্থাৎ, না খাওয়াই উত্তম।

  • কারণ: এটা অরুচিকর প্রাণী, মানুষ সাধারণত খেতে চায় না।

 শাফেয়ি, মালিকি ও হাম্বলি মাযহাব:

  • এসব মাযহাবের আলেমদের মতে, সান্ডা খাওয়া পুরোপুরি হালাল।

  • হাদীস অনুযায়ী, নবী (সা.) নিষেধ করেননি, তাই এটা নিষিদ্ধ নয়।

সান্ডা খাওয়ার চিকিৎসাগত দিক

বহু দেশে সান্ডা তেলের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এবং যৌন স্বাস্থ্য বৃদ্ধির উপাদান হিসেবে সান্ডা তেল ব্যবহার করা হয়। যদিও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটির কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

তাহলে সান্ডা খাওয়া কি জায়েজ?

দিক

ব্যাখ্যা

কুরআন

সরাসরি কোনো উল্লেখ নেই।

হাদীস

রাসূল (সা.) নিজে খাননি, তবে নিষেধও করেননি। সাহাবারা তার সামনে খেয়েছেন।

হানাফি মাযহাব

মাকরূহ (না খাওয়াই ভালো)।

অন্য মাযহাব

হালাল ও জায়েজ।

চিকিৎসা ও ব্যবহার

তেল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে নিশ্চিত প্রমাণ সীমিত।

 

সান্ডা খাওয়া হারাম নয়, বরং হালাল। তবে কেউ যদি এটি অপছন্দ করেন বা অরুচিকর মনে করেন, তাহলে না খাওয়াই উত্তম। ইসলামে শরীরের ক্ষতি না হয়, এমন সব কিছুই মূলত হালাল হিসেবে গণ্য হয় যদি না সেটি নিষিদ্ধ প্রমাণিত হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!