বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এটি আঘাত হানতে পারে চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের সব জেলায়। এতে ঝুঁকিতে রয়েছেন এসব জেলার প্রায় ৬ কোটি মানুষ।
সম্প্রতি কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সতর্ক করে জানান, ২০ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘শক্তি’।
পলাশ আরও জানান, ২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টির আঘাত হানার শঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
এর আগে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম জানিয়েছিল, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে, যা ধাপে ধাপে লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন পর্যন্ত ‘শক্তি’ নিয়ে কোনো সতর্কতা জারি হয়নি। তবে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও নির্দেশনা দেওয়া হবে।
তবে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এখন থেকেই সাগর পারের মানুষদের মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলতে হবে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে।
এ বছর বৈশাখের শেষভাগে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই দাবদাহে যখন জনজীবন নাকাল, তখন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ঘিরে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :