কুমিল্লার মুরাদনগরের নারী ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে তোলপাড়। বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসা পর সেই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা নিয়ে ধীরে ধীরে নানা তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ঘরের মধ্যে বিবস্ত্র করে মারধর করে বেশ কয়েকজন। ঘটে ধর্ষণের ঘটনাও।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি দুই সন্তানের মা।
পরে অভিযান চালিয়ে ভিডিও ভাইরাল করার দায়ে চারজনকে এবং ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে প্রতিনিয়ত নানা তথ্য বের হয়ে আসছে। এই ঘটনা কী সত্যি ধর্ষণ নাকি অন্য কিছু লুকিয়ে আছে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি ফজর আলীর সঙ্গে ওই নারীর পরকীয়ার সর্ম্পক রয়েছেন।
তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ফজর আলীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। এই সুবাদে টাকার লেনদেনও করতেন ওই নারী।
এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন ভোক্তভোগী নারী। তিনি জানান, ‘ফজর আলীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক ছিল না, তবে তার সঙ্গে তিনি টাকা লেনদেন করতেন। টাকা-পয়সা নিয়েই কথা বলতেন। টাকা নিয়েই ছিল সম্পর্ক।’
আপনার মতামত লিখুন :