মেক্সিকোর সিনালোয়া রাজ্যে এক ভয়াবহ রক্তাক্ত সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মাথাবিহীন মরদেহ একটি হাইওয়ে ব্রিজে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ওই স্থানের পাশেই একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে পাঁচটি মানুষের কাটা মাথাও পাওয়া গেছে।
রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, সবগুলো মরদেহই পুরুষের। তাদের প্রত্যেকের শরীরে গুলির চিহ্ন ছিল।
সিনালোয়ার সবচেয়ে বড় শহর কুলিয়াকানের কাছে একটি হাইওয়ে ব্রিজের পাশে পাঁচজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারটি মরদেহ ব্রিজ থেকে উল্টোভাবে ঝুলছিল, আর একজনের মাথা ছিল না। সেখান থেকে কিছুটা দূরে একটি ভ্যানের ভেতর আরও ১৫টি মরদেহ পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যানার উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে সিনালোয়ায় সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বী মাদকচক্রগুলোর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ইঙ্গিত ছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সহিংসতার পেছনে আছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ‘লস চ্যাপিটোস’ ও ‘লা মায়িজা’। তারা সিনালোয়ার গুরুত্বপূর্ণ মাদক পাচারের পথ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে এই সহিংসতার শুরু হয়, যখন একটি মাদকচক্রের এক নেতাকে অপহরণ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। তাকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া হয়। অপহরণটি করে কুখ্যাত মাদকসম্রাট ‘এল চ্যাপো’ গুজম্যানের লোকজন।
এই ঘটনার পর থেকে সিনালোয়া কার্টেল নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে এবং সহিংসতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, এমনকি আগে শান্তিপূর্ণ শহর কুলিয়াকানেও তা ছড়িয়ে পড়ে।
শুধু রোববারই পুরো রাজ্যে ২৭টি খুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কুলিয়াকানে এক বন্দুক হামলায় এক যুবক ও দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনাগুলো মেক্সিকোর মাদক-সহিংসতার ভয়াবহ চিত্র আরও স্পষ্ট করে তুলছে।
আপনার মতামত লিখুন :