দেশের সব মসজিদে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে আমজনতার দল। প্রাথমিকভাবে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টনে দলটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলের সভাপতি কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ মসজিদে রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলন, রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে ধর্মীয় আমলের প্রতিযোগিতা, দলীয় বক্তব্য প্রচারকে কেন্দ্র করে নানা সংঘাতের সৃষ্টি হচ্ছে। আর সংঘাত থেকে রক্তাক্ত হচ্ছে আল্লাহর ঘর মসজিদ। মসজিদ কেন্দ্রিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আমল, কর্মসূচির ফলে মুসল্লিদের মধ্যে সৃষ্ট এমন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব মসজিদে ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ৯২ শতাংশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ। যারা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকেই ধর্মকর্ম পালন করেন—তারা নিজ নিজ দলে অবস্থান করেই আল্লাহর প্রতি আনুগত্য করে নামাজ পড়েন, মসজিদে সবাই মিলিত হন।
মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, আমজনতার দল মনে করে, মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর, ইবাদতের স্থান—যা সব রাজনৈতিক মতের মুসলিমের মিলনমেলা। এই স্থানকে কেবল ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। এতে মসজিদের পবিত্রতা বজায় থাকে এবং মুসল্লিরা শান্তভাবে তাদের ইবাদত সম্পন্ন করতে পারেন। ধর্মীয় স্থানকে রাজনীতিমুক্ত রাখলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়। যখন ধর্মীয় স্থান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হয়, তখন বিভেদ ও সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ধর্মীয় স্থানকে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রাখার মাধ্যমে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ এবং সহনশীল সমাজ গঠন করতে পারি। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে সরকারকে মসজিদে রাজনৈতিক বা দলীয় উদ্যোগে কর্মসূচি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানাই। আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, মসজিদ ও অপরাপর ধর্মীয় স্থানকে তার নিজস্ব মর্যাদা ও পবিত্রতা সহকারে ব্যবহার করুন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য নির্ধারিত স্থান ব্যবহার করুন। এর মাধ্যমে আমরা সমাজকে আরও সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করে তুলতে পারব।’
সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান উপস্থিত ছিলেন।