শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম

নবজাতকের কানে যেভাবে আজান দেবেন

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম

সন্তান মা-বাবার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত ও উপহার। ছবি- সংগৃহীত

সন্তান মা-বাবার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত ও উপহার। ছবি- সংগৃহীত

সন্তান মা-বাবার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত ও উপহার। সন্তানকে মানবজীবনের সৌন্দর্য ও রূপ বলা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সম্পদ ও সন্তানাদি পবিত্র কোরআনে দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য।’ (সূরা কাহাফ, আয়াত: ৪৩)

সন্তান জন্মের পর তার কানে আজান দেওয়া সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নাতি হাসানের কানে আজান দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবু রাফে (রা.) বলেন,

رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ أَذّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصّلَاةِ.

আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাসান বিন আলি (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর তার কানে নামাজের আজানের মতো আজান দিতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৫)।

বিখ্যাত হাদিস ব্যাখ্যাকার মোল্লা আলি কারি (রহ.) এ হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন, এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নবজাতকের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। (মিরকাতুল মাফাতিহ: ৮/৮১)

দুর্বল সূত্রে বর্ণিত কিছু হাদিসে ডান কানে আজান ও বাঁ কানে ইকামত দেওয়ার কথা আছে। অনেক আলেম নবজাতকের ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব বলেছেন।

নবজাতকের কানে নামাজের আজানের মতোই আজান দিতে হবে। আজানের সব বাক্য উচ্চারণ করতে হবে। হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ বলার সময় নামাজের আজানের মতোই চেহারা ডানে-বামে ঘোরানো উত্তম।

আজানের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য নেই। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই কানে আজান দেওয়া সুন্নত।

সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর মসজিদে আজান হলেও নবজাতকের কানে পৃথকভাবে আজান দেওয়া সুন্নত। কারণ এটি একটি স্বতন্ত্র সুন্নত, মসজিদের আজানের মাধ্যমে এ সুন্নত আদায় হবে না।

অর্থ-উচ্চারণসহ আজান ও ইকামত

اَللهُ اَكْبَرْ (আল্লাহু আকবার) ৪ বার

অর্থ: আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله (আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ২ বার

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।

اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ (আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ) ২ বার

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল।

حَيَّ عَلَي الصَّلوةِ (হাইয়্যা আলাস সালাহ) ২ বার

অর্থ: নামাজের দিকে এসো।

حَيَّ عَلَي الفَلَاحِ (হাইয়্যা আলাল ফালাহ) ২ বার

অর্থ: কল্যাণের দিকে এসো।

اَللهُ اَكْبَرْ আল্লাহু আকবার (২ বার)

অর্থ: আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

لَا اِلَهَ اِلَّا الله (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ১ বার

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।

ইকামতের সময় দুইবার হাইয়া আলাল ফালাহ বলার পর বলতে হবে,

قَدْ قَامَتِ الصَّلَوة (ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ) ২ বার

অর্থ: নামাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!