খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক নেতা মাহবুবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট ক্লু এখনো উন্মোচিত হয়নি। তবে তদন্তে দুটি সম্ভাব্য দিককে গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। হত্যাকারীদের মধ্যে একজনের মাথায় হেলমেট থাকলেও অপর দুজনের মুখ খোলা ছিল। তারা ঘটনাস্থলে প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সময় মাহবুব তার ব্যক্তিগত গাড়ি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় তিনি এক ভ্যানচালককে ডেকে নিয়ে যান গাড়ি পরিষ্কারের কাজে। পুলিশের দাবি, হত্যাকারীরা ওই সময় মোটরসাইকেলে এসে মাহবুবকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি করে। এরপর মাথা ও মুখে গুলিবিদ্ধ হলে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ওই সময় ভ্যানচালককেও লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তবে তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। বর্তমানে তিনিই পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মাহবুবের সঙ্গে মহেশ্বরপাশা এলাকার একটি প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। অতীতে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটলেও সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। এদিন এলাকাবাসী জুমার নামাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। জানা গেছে, মাহবুবের বিরুদ্ধে কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে।
দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী বলেন, ‘মাহবুবকে হত্যার সময় ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এরপর তার পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সাধারণ কোনো নিরীহ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি আধিপত্য বিস্তার সংক্রান্ত একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া তিনজন সন্ত্রাসীর সবার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা ঘটনাস্থলে প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করে, হত্যার পর তেলিগাতি হয়ে হাইওয়েতে উঠে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যায়।’
তিনি আরও জানান, ‘মূল আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তদন্তের সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :