শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ১১:৪২ এএম

ইচ্ছাকৃত জুমার নামাজ ছেড়ে দেওয়ার পরিণতি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ১১:৪২ এএম

মসজিদে নামাজে মুসুল্লিরা। ছবি- সংগৃহীত

মসজিদে নামাজে মুসুল্লিরা। ছবি- সংগৃহীত

খেলাধুলা, ব্যবসা-বাণিজ্য অথবা দুনিয়ার কোনো কাজ-কর্মে নিজেকে ব্যস্ত রেখে জুমার নামাজ পরিত্যাগ করার পরিণম খুবই ভয়াবহ। আল্লাহ তাআলাও জুমা পরিত্যাগকারীর দিক থেকে বিমুখ থাকেন। জুমা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তির কোনো ইবাদাত-বন্দেগি আল্লাহর তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা অনেক বড় অভিসম্পাত।

ওজর বা আপত্তি থাকলে জুমা পরিত্যাগ করা ভিন্ন কথা। কিন্তু সক্ষম ও সামর্থ্যবান সবাইকে জুমার নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়ার ব্যাপারে কুরআন হাদিসে সুস্পষ্ট সতর্কতা ও শাস্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, জুমার দিন যেহেতু সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনের অসংখ্য ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে। এ দিনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডই মুসলিম উম্মাহর জন্য রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সমতুল্য। সুতরাং এ দিনের নামাজ, আমল ও ইবাদাত-বন্দেগির ব্যাপারে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।

অনন্তর যারা আল্লাহ বিধান অমান্য করে জুমার নামাজের ব্যাপারে অলসতা ও অবহেলা করে খেলতামাশা দুনিয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য কঠিন হুঁশিয়ারি স্বরূপ তৎপরবর্তী আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘তারা যখন কোনো ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে; তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। (হে রাসুল) আপনি বলে দিন, আল্লাহর কাছে যা আছে (ছাওয়াব ও নৈকট্য লাভে), তা ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বোত্তম রিযিকদাতা।’ (সুরা জামআ : আয়াত ১১)

আল্লাহ তাআলা জুমার নামাজের গুরুত্বারোপ করে কুরআনে আয়াত নাজিল করে বলেছেন, জুমার দিন আজানের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর স্মরণে মসজিদে নামাজে যাওয়ার কথা। আবার নামাজের পরে তাদের জীবিকার সন্ধানে জমিনে ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলেছেন। তাছাড়া বিশ্বনবি আয়াত নাজিলের পরও তাদের সতর্ক করতে হাদিসে উল্লেখ করেছেন-

হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার নামাজ হতে বিমুখ থাকে এবং খেলাধুলা ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকবে আল্লাহ তাআলা তার থেকে বিমুখ থাকবেন। আল্লাহ স্বয়ং সমৃদ্ধ এবং অধিক প্রশংসিত। (দারাকুতনি)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিন দুনিয়ার সকল প্রকার কাজ-কর্ম, খেল-তামাশা, ক্রীড়াকৌতুক, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিহার করে নামাজের প্রতি মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসে সরাসরি জুমা পরিত্যাগকারীকে অভিসম্পাত করা হয়েছে।

তাই আল্লাহর অভিশাপ ও উত্তম রিজিক থেকে বঞ্চিত না হতে উম্মতে মুহাম্মাদির সব সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ জুমার প্রতি গুরুত্বরোপ করা জরুরি। আল্লাহর ঘোষণা তিনি জুমা পালনকারীদের জন্য রেখেছেন সর্বোত্তম রিযিক।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা তার বিধান পালনে মুসলিম উম্মাহকে যথা সময়ে জুমার নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ দান করুন। আমিন।

Link copied!