আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখাল বাংলাদেশ দল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৩৭ রানের ব্যবধানে হেরে গেছে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ২০১ রান। জবাবে বাংলাদেশ তোলে ১৬৪ রান। টাইগারদের ব্যাটিং ধস নামান পাক পেসার হাসান আলি, যিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ৫ উইকেট।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিং নেয় পাকিস্তান। শুরুটা ভালো না হলেও ইনিংসের মাঝপথে রীতিমতো রূপ নেয় তাণ্ডবে। মাত্র ৫ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারালেও ঘুরে দাঁড়ান মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আলি আগা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে মূল্যবান ৪৮ রান।
সালমান আলি আগার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৫৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস। অন্যপ্রান্তে ৩২ বলে ৫৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তরুণ হাসান নাওয়াজ। শেষদিকে ঝড় তোলেন শাদাব খান, যার ব্যাটেই দুইশ পার হয় পাকিস্তানের স্কোরবোর্ড।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন শরিফুল ইসলাম, নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি, শামীম পাটোয়ারী, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।
২০২ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ওপেনার পারভেজ ইমন মাত্র ৪ রানে বিদায় নেন। ইনিংস গুছিয়ে নিতেই হোঁচট খেতে শুরু করে টাইগাররা। ব্যর্থ হন তরুণ তাওহীদ হৃদয়, রানে ফিরতে পারেননি শামীম পাটোয়ারী কিংবা রিশাদ হোসেনও।
লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও কার্যকর ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। লিটন দাস ৪৮, জাকের আলি ৩৬ এবং তানজিদ তামিম করেন ৩১ রান। তবে ম্যাচের রূপরেখায় খুব একটা পরিবর্তন আনতে পারেনি এই তিন ইনিংস।
২০ ওভারের আগেই অলআউট হয়ে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন হাসান আলি। দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৫ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স গড়েন তিনি।