বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যামাজনের ক্লাউড ব্যবসা প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী আয় করতে না পারায় বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছেন। এর ফলে কমে গেছে কোম্পানির শেয়ারের দাম।
অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস) এ বছর এখন পর্যন্ত ২৯.২৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৬.৯% বেশি।
তবে বিশ্লেষকরা আশা করেছিলেন, আয় হবে ৩০.৯ বিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১৭.৪% হবে। এটি গত পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে সবচেয়ে ধীরগতির বৃদ্ধি।
এর আগে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফট আজুর ক্লাউড ব্যবসায় প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল প্রকাশ করায় অ্যামাজনের পারফরম্যান্স নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আশা বেড়ে গিয়েছিল।
প্রযুক্তি বিশ্লেষক গিল লুরিয়া বলেন, ‘মাইক্রোসফটের ভালো ফলাফলের পর সবাই অ্যামাজনের কাছ থেকে আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করছিল।’
অ্যামাজন জানিয়েছে, আগামী প্রান্তিকে তাদের পরিচালন আয় ১৩ থেকে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে হতে পারে, যেখানে বাজারের গড় পূর্বাভাস ছিল ১৭.৭ বিলিয়ন ডলার।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের উপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে খুচরা ব্যবসায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যা অ্যামাজনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে অ্যামাজন সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি এখন পর্যন্ত গ্রাহক চাহিদায় শুল্কের তেমন প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, থার্ড-পার্টি সেলার সার্ভিস থেকে আয় বৃদ্ধি কমে এসেছে মাত্র ৭ শতাংশে (কারেন্সি এফেক্ট বাদে)। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিক্রির পূর্বাভাস বিশ্লেষকদের ধারণার চেয়ে ভালো, যা বিনিয়োগকারীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে।
সব মিলিয়ে, অ্যামাজন প্রথম প্রান্তিকে মোট ১৫৫.৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা বাজারের গড় পূর্বাভাস (১৫৫.০৪ বিলিয়ন ডলার) থেকে কিছুটা বেশি।
এ ছাড়া অনলাইন বিজ্ঞাপন বিক্রি ১৯% বেড়ে ১৩.৯২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে। এখন মেটা এবং অ্যালফাবেটের পরে বিজ্ঞাপন বাজারে অ্যামাজন তৃতীয় বৃহত্তম খেলোয়াড়।
আপনার মতামত লিখুন :