এসএসসি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেয়ে দেশের সাতটি জেলার ৭ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ফেল করায় হতাশ হয়ে, আবার কেউ গোল্ডেন এ-প্লাস না পাওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত নেয়। দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
বরিশাল
বরিশালের হিজলা, বাবুগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর তিনজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এরা হলো- হিজলা উপজেলার খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের অমল মাতুব্বরের মেয়ে অর্পিতা মাতুব্বর (১৬) ও বাবুগঞ্জে উপজেলার বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের হুমায়ুন কবীরের মেয়ে। মীম ইসলাম (১৬)
হিলি
পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে অভিমানে বিষপানে রিতা মনি (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রিতা দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার দাউপুর ইউনিয়নের আখিরা গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় দাউদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
গাইবান্ধা
জেলার পলাশবাড়ীতে এসএসসিতে ফেল করায় লাবণ্য আক্তারর (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে পৌরশহরের নূরপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। সে পলাশবাড়ী পিয়ারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
কুমিল্লা
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় প্রভা আক্তার (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের কাতারপ্রবাসী মোস্তাফার মেয়ে। সে ভরাসার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বগুড়া
বগুড়ার শেরপুরে গোল্ডেন এ-প্লাস না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সুমাইয়া আক্তার (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। সে উপজেলার গাড়িদহ গাড়িদহ ইউনিয়নের আব্দুল বারীর মেয়ে ও আরডিএ একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।
ঠাকুরগাঁও
এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন দুই পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে মিতু আক্তার রেশি (১৬) নামের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আরমিনা আক্তার নামে অপরজন বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ।
নিহত মিতু আক্তার রেশি বালিয়াডাঙ্গী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। আরমিনা অক্তার চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
এছাড়াও অনেকই আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :