ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

এশিয়ায় আবারও কোভিড আতঙ্ক, বাড়ছে উদ্বেগ 

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
প্রতীকী ছবি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ফের উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। হংকং, সিঙ্গাপুর, চীন এবং থাইল্যান্ডের মতো জনবহুল শহর ও অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন সংক্রমণ ঢেউয়ের পেছনে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে ওমিক্রনের উপ-ভেরিয়েন্ট জেএন.ওয়ান।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হংকংয়ের সেন্টার ফর হেলথ প্রোটেকশন জানিয়েছে, শহরে বর্তমানে ভাইরাসের কার্যকলাপ ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি’ পর্যায়ে রয়েছে। 

শ্বাসযন্ত্রের নমুনায় কোভিড পজিটিভের হার গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে, ৩ মে পর্যন্ত সপ্তাহে ৩১ জন গুরুতর কেস শনাক্ত হয়েছে, যা গত ১২ মাসে সর্বাধিক।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ৩ মে পর্যন্ত সপ্তাহে সংক্রমণ ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ১৪,২০০-তে। হাসপাতাল ভর্তির হারও বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। 

দেশটি এক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশদ সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। যদিও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রচলিত রূপগুলোর মধ্যে এখনও পর্যন্ত অতীতের তুলনায় বেশি সংক্রমণক্ষমতা বা মারাত্মক হওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি।

থাইল্যান্ডে ১৭ মে পর্যন্ত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। এর মধ্যে, সর্বাধিক সংক্রমণ ঘটেছে রাজধানী ব্যাংককে। এরপরই রয়েছে চোন বুরি, রায়ং এবং নন্থাবুরি। 

আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ৩০-৩৯ বছর বয়সের। দেশটির কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলিকে দ্রুত বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩১ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত বহির্বিভাগ এবং জরুরি বিভাগে কোভিড শনাক্তের হার ৭.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬.২ শতাংশ। 

একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পজিটিভিটি হার ৩.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬.৩ শতাংশে পৌঁছেছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২৫৭ জন সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন। যদিও বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি, তবুও কর্তৃপক্ষ সতর্ক দৃষ্টিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জেএন.ওয়ান ভ্যারিয়েন্ট-কে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যদিও এটি এখনও ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ নয়, তবে এর উচ্চ সংক্রমণক্ষমতার আশঙ্কায় সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ ভ্যারিয়েন্ট গুরুতর অসুস্থতার জন্য দায়ী এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।