পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার জবাবে ইসরায়েলে বিভিন্ন ধরনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তেহরান। এমন পরিস্থিতে অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রকাশ্যে বলেছে যে এই হামলা অগ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। ইতিমধ্যে ইরানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চার পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র—রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যেই আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান তার পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশ্যে আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৪ জুন) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইরান এখন যেকোনো মুহূর্তে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশ্যে আনতে পারে।
এদিকে, টুইটার ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইরানপন্থী একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে , আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করবে। এমন দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ভয়াবহ পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা উসকে উঠবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল এমন এক ভয়ানক অপরাধ করেছে, যার শাস্তি তারা পাবে। এবার তাদের রেহাই নেই।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খামেনি জানান, ইসরায়েল কেবল হামলা চালায়নি, যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই আগ্রাসনের পরিণতি ভয়াবহ হবে। সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
এমন সময় ইরান সরকার জানিয়ে দিয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আর কোনো ভিত্তি নেই।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে আলোচনার কথা বলে, অন্যদিকে ইসরায়েলকে হামলার অনুমতি দেয়। এটা দ্বিচারিতা।
আপনার মতামত লিখুন :