ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ এখন ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনার দিকে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বন্দুকযুদ্ধ ও বিমান হামলায় গাজায় কমপক্ষে ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার (১৮ জুন) মারা গেছেন অন্তত ৪০ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মাগাজি শরণার্থী শিবির, জেইতুন পাড়া এবং মধ্য ও উত্তর গাজা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হন। এছাড়া, খান ইউনিসের একটি শরণার্থী শিবিরে আরও পাঁচজন প্রাণ হারান। এদিন ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরায়েলি গুলিবর্ষণে আরও ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
চিকিৎসকদের মতে, গাজার মধ্যাঞ্চলের সালাউদ্দিন সড়কে জাতিসংঘের ত্রাণ ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উপর এই গুলিবর্ষণ চালানো হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসের শেষের দিকে সাহায্য বিতরণ পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে খাদ্য সহায়তা পেতে চেষ্টা করা ৩৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩,০০০ এরও বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে গাজার বাসিন্দারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চলমান ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে গাজায় মানবিক সংকট উপেক্ষিত হচ্ছে।
গাজা বাসিন্দা আদেল বলেন, ‘গাজায় দিনরাত মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ এখন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের দিকে সরে গেছে। আজকাল গাজা সম্পর্কে খুব কম খবর পাওয়া যাচ্ছে।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলে আক্রমণ করলে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়, যেখানে ১,২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
হামাসের ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রায় ৫৫,৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।