ইসরায়েল-ইরানের সাম্প্রতিক সংঘাতে তেহরানে কমপক্ষে ১২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এমন দাবি করা হয়েছে।
ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের একটি ইউনিট বাসিজ আধাসামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা জানিয়েছে, নতুন করে আরও দুই ব্যক্তি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে গণমাধ্যম কর্মী নিহতের সংখ্যা ১২ জনে পৌঁছাল।
সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলকে সত্যের কণ্ঠস্বর নীরব করা এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টের গণমাধ্যম দমন করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে গণমাধ্যম অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা করেছে।
এদিকে, ১২ দিনের সংঘাতের সমাপ্তির পরেও যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন।
এর আগে, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, মার্কিন-তেলআবিবের যৌথ হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত বা আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, পরমাণু স্থাপনা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ইরানের বেসামরিক পরমাণু স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (এনপিটি) লঙ্ঘন করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ২২৩১-এর আওতায় এসব স্থাপনা আন্তর্জাতিক সুরক্ষার অন্তর্ভুক্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, গাজা ও দখলকৃত আরব ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে দৃষ্টি সরাতেই তেহরানের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থনে ইসরায়েল দায়মুক্তির সংস্কৃতি বজায় রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক জবাবদিহি বাধাগ্রস্ত করেছে।
আব্বাস আরাগচি বলেন, আমার জনগণ তাদের মাতৃভূমি রক্ষায় অবিচল ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল। প্রতিরোধের মাধ্যমেই এই হামলা থেমে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :