ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে পুতিনের

‘ইউক্রেন যুদ্ধ’ ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমঝোতা হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) চীনের বন্দরনগরী তিয়ানজিনে শুরু হয়েছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর ২৫তম শীর্ষ সম্মেলন। সোমবার সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে শিগগিরই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পুতিন।

ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানের জন্য চীন এবং ভারত উভয়েই অনেক দিন ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছে। মস্কো এবং কিয়েভের সঙ্গে নিয়মিত এ ইস্যুতে আলাপ-আলোচনার পাশাপাশি একাধিকবার শান্তি প্রস্তাবও দিয়েছে। ভারত ও চীনের এসব প্রচেষ্টা সত্যিই খুবই প্রশংসার যোগ্য।’

আদালতের রায়ে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ‘শুল্ক না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত’

বিস্তারিত পড়ুন

‘সম্প্রতি আলাস্কায় (ট্রাম্পের সঙ্গে) বৈঠকের সময় এ ইস্যুতে কিছু সমঝোতা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে হয়েছে। আমি আশা করছি যুদ্ধাবসানের যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছি, এসব সমঝোতা সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সহায়ক হবে।’

কৃষ্ণ সাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা না করা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কিয়েভের আবেদনকে ঘিরে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। এই টানাপোড়েনের একপর্যায়ে পুতিনের নির্দেশে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে শুরু হয় রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান, যা এখনও চলছে।

‘আমরা হারব না’, স্বাধীনতা দিবসে জেলেনস্কির অঙ্গীকার

বিস্তারিত পড়ুন

যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ দেশটির ওপর শত শত নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। জাতিসংঘ এবং তুরস্ক, বেলারুশসহ বিভিন্ন দেশ কয়েকবার আলোচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টাও করেছে, কিন্তু যুদ্ধ থামেনি।