প্রায় এক বছর আগে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকভাবে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও, পরবর্তী এক হামলার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়ায়।
মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ টায়ার জেলার উপকূলীয় সীমান্তবর্তী শহর নাকোরায় একটি গাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় একজন নিহত হন। একই দিনে পূর্বাঞ্চলীয় বালবেক এলাকার নবী শিট গ্রামে আরেকটি গাড়িতে বিমান হামলায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও বালবেক এলাকারই আল-হাফির শহরে আরেক দফা হামলায় এক সিরীয় নাগরিক নিহত হন এবং আরও একজন সিরীয় আহত হন। ফলে তিনটি হামলায় মোট তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জ্বাইল জেলার আইতারুন শহরে একটি অবিস্ফোরিত ইসরায়েলি গোলাবারুদের বিস্ফোরণে একজন আহত হয়েছেন।
হামলাগুলোর কয়েক ঘণ্টা পর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) এক বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণ লেবাননের কাফর কিলা এলাকায় তাদের টহল দলের কাছাকাছি একটি ইসরায়েলি ড্রোন থেকে একটি গ্রেনেড ফেলা হয়। পরে একটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্কও গুলি চালায়। তবে এতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর কোনো সদস্য বা সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
জাতিসংঘের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইসরায়েলের এই হামলা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব এবং লেবাননের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা ও তাদের ম্যান্ডেটের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে লেবানন-ইসরায়েল সংঘাতের অবসান হওয়ার কথা ছিল। তবে চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েলি বাহিনী একাধিকবার লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে এবং দক্ষিণ লেবাননের লাব্বোনেহ, মাউন্ট ব্লাট, ওওয়াইদা হিল, আজিয়েহ ও হাম্মামিস হিলসহ পাঁচটি কৌশলগত এলাকা এখনো দখল করে রেখেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন