৩৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র আবারও অনিশ্চয়তার মোড়ে দাঁড়িয়ে। সামনে ২০২৬ বিশ্বকাপ—আর সেটিতে নিজেকে প্রমাণ করতে হলে এই কয়েক মাসই নেইমারের শেষ সুযোগ। কারণ, সান্তোসের সঙ্গে তার বর্তমান চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।
নেইমার পিএসজি ছাড়ার পর সৌদি আরবের আল-হিলালে যোগ দেন ২০২৩ সালে। কিন্তু ইনজুরি আর অনিয়মিত ফুটবলের কারণে এখন পর্যন্ত মাত্র ২১টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি।
অন্যদিকে, একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়া লিওনেল মেসি ইতোমধ্যে ৭০টির বেশি গোল করে ফেলেছেন ৭৩ ম্যাচে—যা দুইজনের ফর্মের পার্থক্য স্পষ্ট করে।
বিশ্বকাপের আগে সময় অল্প—আর ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, মার্চে যে দল ঘোষণা করবেন সেটিই প্রায় নিশ্চিত চূড়ান্ত বিশ্বকাপ স্কোয়াড হবে। ফলে নেইমারের সামনে সময় মাত্র ছয় মাস।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ট-এর খবর, নেইমার–মেসি ‘রিইউনিয়ন’ খুব সম্ভব একটি চিত্র। ডেভিড বেকহ্যামের ইন্টার মিয়ামি তাকে আনার ব্যাপারে খোলামেলা আগ্রহী।
এমএলএসের ডিজাইনেটেড প্লেয়ার (DP) রুল অনুযায়ী কয়েকজন তারকাকে বেতনসীমার বাইরে বেশি অর্থে নেওয়া যায়। মেসির নবায়ন চুক্তির মাধ্যমে একটি স্থান আগেই ব্যবহার হয়েছে। বুসকেটস ও জর্দি আলবা অবসর নিলে আরেকটি (DP) স্পট খালি হবে—যা নেইমারের জন্য উপযুক্ত।
এদিকে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পল-এর যোগদান বেকহ্যামের তারকাসুলভ প্রকল্পকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
অনেক গুঞ্জন ছড়ালেও ইন্টার মিলান, নাপোলিতে যাওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সান্তোসের সঙ্গে মাত্র আরও ছয় মাস চুক্তি বাড়ানোই আরেকটি সম্ভাব্য পথ খোলা নেইমারের।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন